গণতন্ত্রের সংগ্রামে জয়ী হবে বাংলাদেশের মানুষ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের হাজার বছরের সংগ্রামের ইতিহাস আছে। সে কারণেই গণতন্ত্রের জন্য চলা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করছে তারা। এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবে।
urgentPhoto
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ রাজনৈতিক ইতিহাসের অত্যন্ত সংকটময় সময় অতিক্রম করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এই সংকট এর আগে এত তীব্র এবং গভীরভাবে বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো অনুভব করেছে বা অভিজ্ঞতা লাভ করেছে বলে আমার জানা নেই।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, মুক্ত, স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সার্বভৌম জাতি গঠনের চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করা হয়েছিল। তবে যুদ্ধের যে অর্জন ছিল, তা এখন হারিয়ে গেছে।
বিজয় দিবসকে গর্বের দিন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘এই বিজয় দিবস আমাদের সাফল্যের দিন, আনন্দের দিন। যে আমরা সেদিন পাকিস্তানের আধিপত্য থেকে যুদ্ধের মাধ্যমে নিজেদের মুক্ত করে একটি স্বাধীন জাতি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলাম। আকাঙ্ক্ষা একটি মুক্ত পরিবেশে বাস করার। অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করা। মুক্তচিন্তা করার স্বাধীনতা লাভ করা। কিন্তু এই অধিকারগুলো থেকে বাংলাদেশের মানুষ বঞ্চিত হয়েছে।’
‘সেই কারণে আমাদের গণতন্ত্রের যে সংগ্রাম, আমাদের অধিকারের যে সংগ্রাম, যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সামনে রেখে ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতাযুদ্ধ আমরা করেছিলাম, আজো সেই গণতান্ত্রিক অধিকারকে ফিরে পাওয়ার জন্য, আমার কথা বলার স্বাধীনতাকে ফিরে পাওয়ার জন্য, লেখার স্বাধীনতাকে ফিরে পাওয়ার জন্য, আমার ভোট আমি দেব—এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হবে’, যোগ করেন ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে জোটের তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ফখরুল।
এর আগে অনুষ্ঠিত সভায় বিএনপি ও সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।