ই-অরেঞ্জের মাসুকুর-মাসুক রিমান্ডে
রাজধানীর কোতায়ালী থানায় প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের স্বামী মাসুকুর রহমানসহ দুজনের দুদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এই আদেশ দেন। বিষয়টি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন-প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ।
জিআরও আরও বলেন, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের হাজির করে কোতয়ালী থানার মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক দুদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত মাসে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বাদী ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার অভিযোগ এনে ঢাকার সিএমএম আদালতে ই-অরঞ্জের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপরে আদালত মামলাটিতে এফআইআর হিসেবে কোতায়ালি থানাকে নির্দেশ দেন। সে নির্দেশের পরে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ করলে আসামিদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট গুলশান থানায় বাদী হয়ে অপর একটি মামলাটি করেন মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। তিনি ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
ওই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাদী গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু তারা পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ বাদীকে গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও ই-অরেঞ্জ ডেলিভারি দেয়নি।