ময়মনসিংহে জনতা ব্যাংকের কাউন্টার থেকে  অভিনব কায়দায় ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার বিকেল ৩টা ৩৪ মিনিটে নগরীর দুর্গাবাড়ি রোডে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন।

ঘটনার তিন দিন পার হলেও উদ্ধার হয়নি টাকা। থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। এর আগেও একাধিকবার গ্রাহকরা এ ধরনের ঘটনার শিকার হলেও দায় নেয়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এতে জনতা ব্যাংকের এই করপোরেট শাখার গ্রাহকদের মধ্যে চলছে আতঙ্ক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই দিন ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা কাউন্টারে রেখে জমা স্লিপ লিখছিলেন। এ সময় তার টাকা নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় এক যুবক। কিন্তু ঘটনা ঘটার তিন দিন পার হলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিজ থেকে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে চলছে নানা সমালোচনা। বারবার এমন ঘটনা ঘটায় নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। 

এর আগেও মাসুম নামে এক গ্রাহক ব্যাংকের ফটকে তার টাকা ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। গ্রাহকরা বলছেন, টাকা নিয়ে দৌড়ে পালানো যুবককে ধরতে কোনো চেষ্টাই করেনি নিরাপত্তাকর্মীরা। ব্যাংকের সিসিটিভির ফুটেজেও ওই যুবকে ধরার চেষ্টার কোনো চিত্র পাওয়া যায়নি। গ্রাহকদের অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে কর্মকর্তারা বাজার করান। অনেক সময় নিরাপত্তাকর্মীদের ব্যাংকের ফটকে দেখাই যায় না।

কাউন্টার থেকে অভিনব কায়দায় প্রকাশ্যে টাকা নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিজেদের দায় দেখছেন প্রতিষ্ঠানটির এজিএম (ইনচার্জ) খন্দকার ফরিদ আহমেদ। তিনি বলেন, পুলিশ এসে সব শুনে গেছে, তারাই ব্যবস্থা নেবে। আমরা আর কী করব? তবে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল স্বীকার করে তিনি বলেন, শাখাটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ বলেন, এটা একটা চুরির ঘটনা। আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেটা নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।