চাকরি দেওয়ার নামে কিশোরীকে ধর্ষণ
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাসুম হাওলাদার নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
অভিযুক্ত মাসুম বরিশাল মেট্রোপলিটনের বিমানবন্দর থানাধীন পাংশা এলাকার বাসিন্দা।
মামলার অভিযোগ ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলার তালতলি উপজেলার এক দিনমজুরের মেয়ে (১৭) বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রোববার বরিশালে আসেন। সে চাকরির খোঁজে বান্ধবী ফাতেমার কাছে যান। ফাতেমা ওই দিন সন্ধ্যায় উজিরপুর উপজেলার হারতা বাজারের ব্রিজের পাশে স্বপন মন্ডলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাসুম হাওলাদারের কাছে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভিকটিমকে নিয়ে যায়। ওই রাতে মাসুম কিশোরীকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। সোমবার সকালে মাসুমের দ্বিতীয় স্ত্রী রুমানা ধর্ষণের বিষয় জানতে পারে এবং সে ওই কিশোরীকে দুই হাজার টাকা দিয়ে বাবার বাড়ি বরগুনাতে চলে যাওয়ার জন্য বলে।
কিশোরী বাড়িতে না গিয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে আসে এবং তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানায়।
বিষয়টি সেখান থেকে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদকে জানানো হয়। এরপর উজিরপুর মডেল থানার পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতে কিশোরী বাদী হয়ে মাসুম হাওলাদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে বরিশাল বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আলী আর্শাদ বলেন, ‘মামলা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত আসামি মাসুমকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’