ইভ্যালির সিইও রাসেলের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে এজাহার গ্রহণ করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ এডিশনাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এই আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার এজাহার ও প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (এফআইআর) এলে বিচারক তা গ্রহণ করে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে তিন লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা দেন আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক। সাত থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও, তা দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন গ্রাহক আরিফ বাকের।
দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য জানিয়েছে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান। ওসি বলেন, ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন একজন গ্রাহক। তিন লাখের বেশি টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
মামলার এজাহারে আরিফ বাকের জানিয়েছেন, প্রথমে গ্রাহক আরিফ বাকের ও তাঁর বন্ধুরা ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হন এবং প্রতিষ্ঠানের কিছু পণ্যের অর্ডার দেন। গত ২৯ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত আরিফ বাকের বিভিন্ন সময় পণ্যের মূল্য বাবদ তিন লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা অনলাইন ব্যাংকিং ও একটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। পণ্য সাত থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরতের অঙ্গীকার করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। সবশেষ ৫ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহকসেবা শাখায় (কাস্টম কেয়ার সেন্টার) যোগাযোগ করে পণ্য পেতে ব্যর্থ হন। এর আগে যতবার যোগাযোগ করা হয়, ততবারই তারা দেব–দিচ্ছি বলে টালবাহানা করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৯ সেপ্টেম্বর বাকেরসহ তিনজন ধানমন্ডির ১৪ নম্বর রোডে ইভ্যালির অফিসে যান ও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁরা বাধার শিকার হন। পরে বাকের বন্ধুদের নিয়ে ইভ্যালির অফিসে প্রতিনিধিদের সঙ্গে পণ্যের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তাঁরা চিৎকার–চেঁচামেচি করেন। একপর্যায়ে অফিসের ভেতর থেকে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল তাঁকে ভয়ভীতি দেখান ও তাঁদের টাকা দিতে অস্বীকার করেন। একপর্যায়ে তিনি তাঁদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। তখন ইভ্যালির চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত হয়ে পণ্য অথবা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। তিনিও তাঁদের ভয়ভীতি, হুমকি দেওয়াসহ চরম দুর্ব্যবহার করেন।