সমুদ্র দূষণে তিন বছর কারাদণ্ড, পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার দূষণ ছড়ালে সর্বোচ্চ তিন বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রেখে বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে বিদেশি জাহাজ বা ডুবোজাহাজের বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করলে তা ফৌজদারি ও দেওয়ানি উভয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আদালত বিচার করতে পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জাতীয় সংসদে টেরিটরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০২১ বিলটি উপস্থাপন করেন। এটি টেরিটরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ১৯৭৪ এর অধিকতর সংশোধন করে উপস্থাপন করা হয়।
উত্থাপিত বিলটি জাতীয় সংসদের সম্মতিক্রমে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রিপোর্ট প্রদানের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
আইন সংশোধনের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগের আইনে এরিয়া এবং গভীর সমুদ্র সংক্রান্ত কোনো ধারা না থাকায় সমুদ্র এলাকায় সম্পদ আহরণ, উত্তোলন ও জাহাজ পরিচালনার অধিকার ব্যাখ্যা ছিল না। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে এগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বের আইনে সামুদ্রিক দূষণের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড শাস্তির বিধান ছিল। প্রস্তাবিত আইনে এ ধরনের অপরাধের দায়ে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা সর্বনিম্ন দুই কোটি টাকা এবং সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে বিদেশি জাহাজ বা ডুবোজাহাজ বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ফৌজদারি এক্তিয়ার ও দেওয়ানি এক্তিয়ার উভয় আইন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই আইন অনুমোদিত হলে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় সার্বভৌমত্ব ও সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা, ফৌজদারি ও দেওয়ানি এক্তিয়ার প্রয়োগ, মেরিটাইম ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে সুবিচার নিশ্চিতকরণ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর হবে বলে বিবৃতি বলা হয়েছে।