হাইপোথাইরয়ডিজম যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন
বর্তমান সময়ে হাইপোথাইরয়ডিজম একটি কমন সমস্যা। ছোট থেকে বড় সব বয়সেই এই সমস্যা দেখা যায়। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জানব কীভাবে হাইপোথাইরয়ডিজম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে হাইপোথাইরয়ডিজম সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ নুজহাত মঞ্জুর। তিনি বলেন, থাইরয়েড গ্ল্যান্ড যখন শরীরের চাহিদামতো পর্যাপ্ত পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে পারে না, তখনই হাইপোথাইরয়ডিজমের লক্ষণগুলো শরীরে প্রকাশ পেতে থাকে। লক্ষণগুলোর মধ্যে ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া, কারও কারও ক্ষেত্রে বিষণ্ণতায় ভোগা, অনেকের ক্ষেত্রে হার্ট রেট কমে যাওয়া ইত্যাদি দেখা দিয়ে থাকে। অনেকের ধারণা, শুধু ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে হাইপোথাইরয়ডিজম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আসলে তা ঠিক নয়। ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি কিছু কিছু খাবার নিয়ন্ত্রণেরও প্রয়োজন হয়।
পুষ্টিবিদ নুজহাত মঞ্জুর বলেন, ব্রেড, পাস্তা ইত্যাদি গ্লুটেন জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। তা ছাড়া সয়া জাতীয় খাবার, যেমন সয়ামিল্ক, টোফু ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে রেখে আমাদের খেতে হবে। শরীরে উত্তেজনা সৃষ্টি করে, যেমন চা, কফি, গ্রিন টি ইত্যাদি পানীয় বেশি পরিমাণে খেতে পারব না। কারণ, চা গাছের পাতা মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণে ফ্লুরাইড শোষণ করে, যা আপনার হাইপোথাইরয়ডিজমের লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
পুষ্টিবিদ নুজহাত মঞ্জুরের পরামর্শ, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আঁশ জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। কারণ, যারা হাইপোথাইরয়ডিজমে আক্রান্ত, তাদের হজমপ্রক্রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে। আর আঁশ জাতীয় খাবার বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন আট থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে। কারণ, মেটাবলিজমের জন্য প্রচুর পানি প্রয়োজন হয়। হাইপোথাইরয়ডিজমের কারণে যেহেতু ওজন বাড়ে, তাই আপনার ডেইলি অ্যাকটিভিটি বাড়াতে হবে। সেইসাথে কিছু এক্সারসাইজ করতে পারেন। তাহলে আপনি ওজনটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
হাইপোথাইরয়ডিজম নিয়ন্ত্রণে কী করবেন, তার বিশদ জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।