দুর্ঘটনার এক মাস পর চমেকের সেই চিকিৎসকের মৃত্যু
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (চমেক) জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. মো. ওয়াহিদুর রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আজ সোমবার সকালে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
করোনাভাইরাস দেশে ছড়িয়ে পড়ার শুরু থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া তরুণ চিকিৎসক মো. ওয়াহিদুর রহমান গত ১৯ আগস্ট আগ্রাবাদের হালিশহর এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। একদিন চমেকে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২০ আগস্ট বিকেলে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হয়ে পরে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃত মো. ওয়াহিদুর রহমানের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাঁর স্ত্রী সেতু সেজুতি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক। ওয়াহিদুর রহমান বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
কেরানীহাট মা-শিশু হাসপাতালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করা চিকিৎসক ওয়াহিদুর রহমানের মৃত্যুর বিষয়ে মা-শিশু হাসপাতালের চেয়ারম্যান ওসমান আলী ও ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক বলেন, ‘করোনার সময়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে মানুষকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া এ চিকিৎসকের মৃত্যুতে দেশের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। আরেকজন ওয়াহিদুর রহমান পাওয়া অনেক কঠিন।’
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডাক্তার আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘অত্যন্ত মেধাবী এবং যত্নশীল চিকিৎসক ছিলেন ওয়াহিদ। তাঁর মৃত্যুতে পুরো চিকিৎসক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’ তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহানুভূতি জানিয়েছেন তিনি।