মুস্তাফিজ-কার্তিকদের বোলিংয়ে রাজস্থানের অবিশ্বাস্য জয়
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য মাত্র ৮ রান দরকার ছিল পাঞ্জাব কিংসের। হাতে ছিল ৮ উইকেট। ওই কঠিন মুহূর্তে ১৯তম ওভারে বল হাতে ভূমিকার রাখেন মুস্তাফিজুর রহমান। আর শেষ ওভারে দলকে পথ দেখান কার্তিক তিয়াগি। দুই বোলারের কল্যানে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয় তুলে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস।
আইপিএলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে পাঞ্জাবের বিপক্ষে শেষের রোমাঞ্চে ২ রানে জিতেছে রাজস্থান। বল হাতে দারুণ করে ম্যাচসেরা হয়েছেন কার্তিক। আগে ব্যাট করে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান। তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৮৩ রানে থামে পাঞ্জাব।
অবশ্য ম্যাচের নাগাল শেষ পর্যন্ত ছিল পাঞ্জাবের হাতেই। শেষ ১২ বলে মাত্র ৮ রান লাগত তাদের। তখন উইকেটে ছিলেন নিকোলাস পুরান ও এইডেন মারক্রামের মতো বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। কিন্তু ১৯ ওভারে মুস্তাফিজকে উড়িয়ে মারতে পারেননি তারা।
বাংলাদেশি পেসারের প্রথম তিন বলে পুরান নিতে পারেন কেবল এক রান। চতুর্থ বলে আউট হতে পারতেন মারক্রাম। ডান দিকে ঝাঁপিয়েও বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি সাঞ্জু স্যামসন। ওই বলেও আসে এক রান। পরের দুই বলে দুটি সিঙ্গেল।
ফলে শেষ ওভারে সমীকরণটা দাঁড়ায় ৬ বলে ৪। কিন্তু সহজ সমীকরণও মেলাতে পারেনি পাঞ্জাব। শেষ ওভারে কার্তিকের প্রথম দুই বলে মারক্রাম নেন এক রান। পরের চার বলে আর রানই নিতে পারেনি পাঞ্জাব! উল্টো হারায় দুটি উইকেটে। তৃতীয় বলে কট বিহাইন্ড করে ফেরান পুরানকে। আর পঞ্চম বলে ফেরান দিপক হুদাকে। এরপর শেষ বলে কোনো রান দেওয়া ছাড়াই জয়ের উল্লাসে ভাসে রাজস্থান।
৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন জয়ের নায়ক কার্তিক। মুস্তাফিজ ৩ উইকেট পেতে পারতেন। কিন্তু তার বলে ফিল্ডাররা তিনবার ক্যাচ ছেড়ে দিয়েছেন। ৪ ওভারে তিনি দেন ৩০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজস্থান রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৮৫ (লুইস ৩৬, জয়সওয়াল ৪৯, স্যামসন ৪, লিভিংস্টোন ২৫, মহিপাল ৪৩, পারাগ ৪, তেওয়াতিয়া ২, মরিস ৫, সাকারিয়া ৭, কার্তিক ১, মুস্তাফিজ ০*; শামি ৪-০-২১-৩, ইশান ৪-০-৩৯-১, হুডা ২-০-৩৯-১, আর্শদিপ ৪-০-৩২-৫, রশিদ ৩-০-৩৫-০, হারপ্রিত ৩-০-১৭-১) ।
পাঞ্জাব কিংস: ২০ ওভারে ১৮৩/৪ (রাহুল ৪৯, মায়াঙ্ক ৬৭, মারক্রাম ২৬*, পুরান ৩২, হুডা ০, অ্যালেন ০*; মুস্তাফিজ ৪-০-৩০-০, সাকারিয়া ৩-০-৩১-১, কার্তিক ৪-০-২৯-২, মরিস ৪-০-৪৭-০, তেওয়াতিয়া ৩-০-২৩-১, মহিপাল ১-০-৭-০, পারাগ ১-০-১৬-০)।
ফল: রাজস্থান রয়্যালস ২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কার্তিক তিয়াগি।