আগে ম্যানুয়ালি ঠকাতো, এখন ডিজিটালি ঠকাচ্ছে : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো আগে মানুষকে ম্যানুয়ালি ঠকাতো, এখন ডিজিটালি ঠকাচ্ছে। এরা একেক সময় একেকভাবে মানুষকে ঠকিয়েই আসছে।
আজ বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ই-কমার্সের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের প্রতারিত হওয়া ও এর প্রতিকারের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ছাড়পত্র নিয়ে ব্যবসা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে, যাতে করে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা না করতে পারে।
সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানোর কারণ জানতে চাইল মুস্তফা কামাল বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। যার যত বেশি বিনিয়োগ, তার মুনাফার হার হবে ততো কম। ১৫ লাখ টাকার কম বিনিয়োগের মুনাফা একই থাকছে। যারা নতুন করে সঞ্চয়পত্র কিনবেন, শুধু তাদের জন্য পরিবর্তিত হার কার্যকর হবে। আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেটি পুনঃবিনিয়োগ করলে তখন নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয়ের জন্য নতুন এই মুনাফার হার প্রযোজ্য হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় মানুষের চাপ বাড়ছে। পড়ালেখাসহ নানা কারণে আমরাও এক সময় ঢাকায় আসি। গ্রামে শহরের সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস এক সময় মানুষ আর শহরমুখী হবে না। গ্রামে শহরের সব সুবিধা তৈরি হবে। সরকার গ্রামকে শহরে রুপ দিতে নানা ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।