বাড়ি থেকে বের হলো দুইবোন, একজন ফিরল বিবস্ত্র লাশ হয়ে
সাতক্ষীরা দুই বোন নদী পার হয়ে একসঙ্গে প্রাইভেট পড়তে যায়। আর আজ শুক্রবার সকালে বড়বোন দশম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমার হাতপা বাঁধা গলায় ওড়না পেঁচানো বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হলো একটি বাগান থেকে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর কোনো এক সময় এ হত্যার ঘটনা ঘটে জেলার দেবহাটা উপজেলার টিকেট গ্রামে।
নিহত পূর্ণিমার বাবা শান্তিরঞ্জন দাস জানান, তার বড় মেয়ে পূর্ণিমা দাস দশম শ্রেণির ছাত্রী ও ছোটমেয়ে অসীমা দাস অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তারা এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তো।
শান্তিরঞ্জন আরও জানান, গতকাল সন্ধ্যায় দুই বোন নদী পার হয়ে স্যারের বাসায় পড়তে যায়। এর এক পর্যায়ে বড় মেয়ে পূর্ণিমার মোবাইলে একটি ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে কেউ একজন ডেকে নেয়। পরে তাকে তারক মণ্ডলের ঝোপঝাড়যুক্ত বাগানে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হাতপা বেঁধে বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।
দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা কললিস্ট দেখে পার্থ মণ্ডল নামের এক যুবককে চিহ্ণিত করেছি। তার সঙ্গে পূর্ণিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওসি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। এ ব্যাপারে দেবহাটা থানায় একটি মামলা হয়েছে।