সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোয় নিম্নমধ্যবিত্ত চাপে পড়ল
সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমানোয় সরকারের সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে নিম্নমধ্যবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে আরও চাপে রাখল সরকার। অর্থমন্ত্রী সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমিয়ে দিয়েছেন। এর মানে হলো, গরিবরা মরুক। তাদের দিকে সরকারের কোনো নজর নেই।’
আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মরহুম নিশতার আহেমদ রাখীর স্মরণে এই শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (রুনেসা)।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবীরের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির রংপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মো. নেছারুল হক, রুনেসার নেতা মাহবুবুর রহমান ফরহাদ প্রমুখ।
এ ছাড়া ছাত্রদলের সাবেক নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাজু আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে বিএনপিনেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে পৌনে দুই বছর পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নজরদারিতে থাকবে। সিসিটিভি বসাবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদেরকে নির্দেশনা দিচ্ছে। তাহলে প্রমাণিত হয় যে, ইচ্ছা করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে সরকার। এ কারণেই নজরদারিতে রাখার কথা বলছে। আসলে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়নি। এখন বুঝা যাচ্ছে যে, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যেন শিক্ষার্থীরা বর্তমান অবৈধ সরকারের দু:শাসন ও অন্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে না পারে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, করোনার সংকটে জাতি যখন দিশেহারা, ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে মানুষ। আর তখন দেশে দেখছি ক্ষমতার অপব্যবহারের নামে জৌলুস।’
মরহুম নিশতার আহমেদ রাখীর স্মৃতিচারণ করে রিজভী বলেন, রাখী ছিলেন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও অমায়িক ব্যবহারের মানুষ। তাঁর আচরণে কেউ মুগ্ধ না হয়ে পারেনি। চরিত্রবান ও সৎ ছাত্রনেতা হিসেবে তাঁর পরিচিত রয়েছে। পেশাদার হিসেবে নিষ্ঠাবান। তাঁর মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা সহজে পূরণ হবে না। তাঁর সুন্দর ব্যবহার আমাদেরকে তাড়িত করে। তাঁর মতো শিষ্টাচার সম্পন্ন মানুষ আমাদের সমাজে কম। আল্লাহতায়ালা তাঁকে বেহেশত নসিব করুন।