ওজন লক হয়ে গেলে কী করবেন
উচ্চতা অনুযায়ী একেক জনের টার্গেট ওজন একেক রকম। সে ক্ষেত্রে অনেককে দেখা যায়, খাবার একেবারেই কমিয়ে দেন, ডায়েট চার্ট ফলো করছেন; কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর ওজন কিছুতেই কমছে না। ওজন এক জায়গায় স্থির আছে। একে ওজন লক বলে।
এ ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কিছু কৌশল বা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ রুবাইয়া পারভীন রীতি। তিনি বলেন, প্রথমে সমস্যা কোথায় হচ্ছে, সে বিষয়টি সমাধান করতে হবে। যেমন অনেকের দেখা যায় যে মেটাবলিজম অনেক দুর্বল থাকে। সে জন্য হয়তো বা ওজন কমানো সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে আছেন টকজাতীয় ফল যে সময় খাওয়ার কথা, যেমন মধ্য-সকালে খেলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয় বা বিকেলের আগে খেলে ভালো হয়; দেখা যায় যে তাঁরা খাবারের লিস্টে টকজাতীয় ফল রাতের বেলা খান। তো সে ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণেও ওজন লক হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়টি লক্ষ্যণীয়।
পুষ্টিবিদ রুবাইয়া পারভীন রীতি বলেন, খাদ্যতালিকা পরিমাপ করতে হবে এবং কিছু খাবার বাড়িয়ে বা কমিয়ে দিতে হবে। সেটা হতে পারে কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিন। অনেক সময় দেখা যায় যে অনেকেই লো-কার্বস ডায়েট ফলো করেন বা অন্যান্য ডায়েট ফলো করেন, যেটার মধ্যে কার্বোহাইড্রেট একেবারেই কমিয়ে দেন বা খান না। সে ক্ষেত্রেও ওজনটা লক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার অনেকেই আছেন ঘুম ঠিকমতো হয় না। রাতের বেলা ঠিকমতো ঘুমাতে যেতে হবে এবং সকালে ঘুম থেকে একটু দ্রুত উঠতে হবে। লাইফস্টাইল যদি ঠিক না থাকে, তাহলে কিন্তু ওজন কমে না। তার পাশাপাশি বলব ক্যালোরি বার্নের সিস্টেম। অনেকেই আছেন কম খান, কিন্তু ক্যালোরি বার্ন করেন না। যাঁদের ওজন লক হয়ে গেছে, তাঁরা পর্যাপ্ত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি অবশ্যই ক্যালোরি বার্ন করবেন। একটি বিষয় মনে রাখবেন, যেদিন যতটুকু খাবার গ্রহণ করবেন, সেদিন এক্সট্রা কোনও খাবার খেলে সে খাবারটির ক্যালোরি বার্ন করে ফেলবেন এবং ব্যায়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেবেন। আর অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করবেন। পানি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
ওজন লক হয়ে গেলে কী করবেন, তার বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।