এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হবে না : শিক্ষামন্ত্রী
এ বছর অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গণভবন উচ্চ বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শিক্ষামন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিরাজমান অবস্থায় আলাদা করে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। তবে অন্যান্য শ্রেণির মতো অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও শ্রেণি মূল্যায়ন হবে। তাদেরও শ্রেণি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে নবম শ্রেণিতে পড়তে হবে।
এর আগে সকালে অপর এক অনুষ্ঠানে ডা. দীপু মণি জানান, এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হবে।
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচি চূড়ান্ত করে গত সোমবার অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে এসএসসি এবং ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। সূচি অনুযায়ী, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হবে ২৩ নভেম্বর এবং এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হবে ২৮ ডিসেম্বর।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেখানে সমস্যা হয়েছে, সেখানে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত কি-না, তা পর্যবেক্ষণ করছি। অনেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। আমরা এর কোনো সত্যতা পাইনি।’
দীপু মনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে করোনা মহামারি চলমান। যদিও সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। কাজেই আমাদের তীক্ষ্ন নজর রাখতে হবে, সবার দিকে। কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে। বাড়িতে, বাড়ির বাইরে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। অন্যদিকে, আবার তাদের দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও সংক্রমিত হতে পারে। সেটি যেন না ঘটে, তা নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। কোথাও কোনো শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়া মাত্র যেন ব্যবস্থা নিতে পারি, সে বিষয়ে আমরা সচেতন ও সজাগ। কোথাও থেকে তথ্য পাওয়ামাত্র দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জন অফিসসহ সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগেই বলেছি, কোথাও থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে বা পড়ার আশঙ্কা থাকলে প্রয়োজনে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি কোথাও হয়, সে ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আমরা ব্যবস্থা নেব।’