ফরিদপুরে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও গলা কেটে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় জিন্দার আলী শেখকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় আসামির উপস্থিতে এ আদেশ দেন।
রায়ে আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়। রায় ঘোষণার পরে তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ২০ মে দিবাগত রাতে বোয়ালমারী উপজেলার টোংরাইল বনমালীপুর এলাকায় একটি রাস্তার পাশে ধর্ষণ শেষে গলা কেটে ঘটনাস্থলেই হত্যা করা হয় এক মাদ্রাসাছাত্রীকে। পরের দিন সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার একদিন পর ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বোয়ালমারি থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ২০১২ সালে তদন্ত কার্যক্রম শেষে পুলিশ জিন্দার আলীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে না পেরে তিনি এই ঘটনা ঘটান বলে স্বীকার করেন আদালতে। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় আদালতে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাই আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) স্বপন কুমার পাল জানান, আদালতের দেওয়া রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এই রায়ে বাদী উপযুক্ত বিচার পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
রায় ঘোষণার সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী ধনঞ্জয় বল আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামির স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা। তারা এ রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামি ইচ্ছে করলে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এ আপিল করতে হবে।