রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম দুই চালান এসে পৌঁছেছে বেনাপোলে
রেলযোগে পার্সেল ভ্যানের প্রথম দুটি চালান গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে। দুজন আমদানিকারকের ৪৫০ মেট্রিক টন সিমেন্ট মর্টারের দুটি চালান কলকাতা থেকে ছেড়ে রাতে আনলোড করা হয় বেনাপোল বন্দরে। আজ বুধবার পণ্য চালানটি খালাস নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
দ্রুত ও কম খরচে পণ্য আমদানি করা যায় বিধায় সড়ক পথের পরিবর্তে রেল পথে পণ্য আমদানিতে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজিসটিক ছাড়াও এ পথে আরও দুটি পার্সেল ভ্যান ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেলে পণ্য পরিবহণ করছে।
ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজিসটিকের ইন্দো-বাংলা ট্রেড ম্যানেজার অনুস্কর জানান, বাংলাদেশে প্রথম তারা আমদানি পণ্য পরিবহণ করছেন রেলযোগে। রেলে ২০ কেজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিমাণের পণ্য পরিবহণ করতে সক্ষম তারা। পরিবহণে খরচও অনেক কম পড়বে। বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটের কারণে সপ্তাহে একদিন কলকাতা থেকে রেলযোগে পণ্য নিয়ে আসবেন তারা। বন্দরে পণ্য রাখার জায়গা বাড়লে সপ্তাহে সাত দিনই তারা পণ্য পরিবহণ করবে।
ইনল্যান্ড ওয়ার্ল্ড লজিসটিক পার্সেল ভ্যানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ জানান, রেলে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে নতুন করে পার্সেল ভ্যান যুক্ত হওয়ায় দ্রুত ও কম খরচে রেলপথে পণ্য আমদানি বাড়বে। তবে বন্দরে সক্ষমতা বাড়ালে পার্সেল ভ্যানে আমদানি বাড়বে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, সড়ক পথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে একটি পণ্য চালান আমদানি করতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। বেনাপোলের ওপারে বনগাঁ কালিতলা পার্কিংয়ে সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে আমদানি বাণিজ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, কলকাতা থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক কালিতলা পার্কিংয়ে ১৫-২০ দিন পর্যন্ত সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। প্রতিদিন ট্রাকপ্রতি দুই হাজার টাকা করে ড্যামারেজ গুনতে হয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের। ফলে সময়মতো পণ্য আমদানি করতে না পারায় দেশের শিল্প-কলকারখানাসহ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। রেলে পণ্য আমদানিতে দিনের দিন কলকাতা থেকে পার্সেল ভ্যান এসে পৌঁছায় বেনাপোল বন্দরে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, রেলের পার্সেল ভ্যানে পণ্য আমদানি হওয়ায় দ্রুত ও কম খরচে পণ্য আমাদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। ফলে আমদানি বাণিজ্যে গতি ফিরে আসবে। দিনের রাজস্ব দিনে আদায় করা সম্ভব হচ্ছে। আমদানি বাড়লে বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়। বর্তমানে বন্দরে জায়গা স্বল্পতায় প্রতিদিন রেলের পার্সেল ভ্যান আসতে পারছে না।