নওগাঁয় ধান কাটার মেশিন প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ
নওগাঁয় এসিআই কোম্পানি কর্তৃক কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কম্বাইন হারভেস্টার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক লিখিত বক্তব্যে জানান, হারভেস্টার মেশিন কেনার আগে এসিআই কোম্পানি যে প্রতিশ্রুতিগুলো দেয় তা পরে আর বাস্তবায়ন করেনি। মেশিন কেনার আগে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের চপিং ইউনিট পাস্টর্স দেওয়ার কথা থাকলেও তা পরে আর দেয়নি। দুই বছরের ফ্রি সার্ভিস দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। ৬০০ ঘণ্টা চলার পর মেশিন আর চলে না ইত্যাদি অনিয়ম চলে আসছে। যার কারণে কৃষকরা ভর্তুকিতে এই মেশিন কিনে লোকসানের মুখে পড়েছেন। অপরদিকে, সরকার যে লক্ষ্য নিয়ে লাখ লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের মেশিন প্রদান করছেন সেগুলোর একটিও আলোর মুখ দেখছে না।
মতিউল হক বলেন, ‘বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। সরকারের ভর্তুকী দেওয়া এই মেশিন কিনে কৃষকরা দিশেহারা। বর্তমানে এই মেশিনগুলো জেলার ৫৬ জন কৃষকের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। অনেকেই মেশিন কিনে ব্যবহার করতে না পারায় সময়মতো কিস্তি দিতে পারছে না। কিস্তির টাকা দিতে না পারলে পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছে কৃষকরা। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিসকে লিখিতভাবে একাধিকবার জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে দবি করা হয়, সব সমস্যা দ্রুত সমাধান করে কম্বাইন হারভেস্টার মালিকরা যেন তাদের মেশিন সফলভাবে ব্যবহার করতে পারে। এ বিষয়ে হারভেস্টার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি পাঁচটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা কম্বাইন হারভেস্টার মালিক সমিতির উপদেষ্টা ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, সহসভাপতি সম্রাট, হুমায়ন কবির, সদস্য দেওয়ান শহীদ, রেজাউল করিম, রাকিব, খুলিলুর রহমান, রুবেল।
এ ব্যাপারে এসিআই কোম্পানির দায়িত্বরত মার্কেটিং কর্মকর্তা শামীম হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা সরকারের সঙ্গে সম্পন্ন চুক্তি মোতাবেকই মেশিন দিয়েছি। কিছু কুচক্রী মহল সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই ধরনের উদ্দেশ্যমূলক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুল ওয়াদুদ বলেন, ‘সমিতির এই দাবি সঠিক নয়। কোম্পানির লোকেরা ওসব মেশিন মালিকদের কাছ থেকে টাকা চাইতে গেলেই তাঁরা বিভিন্ন তালবাহানার আশ্রয় নিচ্ছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি দেশের বিভিন্ন এলাকাসহ নওগাঁয় যে মেশিনগুলোর দেওয়া হয়েছে সেগুলোর কোনো সমস্যা নেই।’