কীভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকবেন সেটা নিয়ে ভাবুন
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপিকে নিয়ে না ভেবে কীভাবে নিজেরা ক্ষমতায় টিকে থাকবেন সেটা নিয়ে ভাবুন। দেশের মানুষের মুখে-মুখে কথা উঠে গেছে, দেশে আওয়ামী লীগ নেই, বিএনপি আছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মির্জা আব্বাস। বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের পক্ষ থেকে সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
‘আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে আর কোনো নির্বাচনে যাওয়া যাবে না’ মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে প্রশ্ন, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তো বিএনপির ছিল না। এই দাবি তুলেছিল জামায়াতে ইসলাম। তারপর এটাকে আওয়ামী লীগ দাবি হিসেবে তোলে। তখন ক্ষমতাসীন দল হিসেবে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু করে। গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করি বলে আমরা এটাকে সংযোজন করেছিলাম। এখন আওয়ামী লীগ বলছে, এটার প্রয়োজন নেই। তাহলে এখন আওয়ামী লীগ পদত্যাগ করুক। এরপর যেভাবে প্রয়োজন সেভাবে দেশ চলবে।
বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ভুয়া লোক উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেন, তার কথাকে আমরা কোনো মূল্য দেই না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু লোক নির্বাচন কমিশনার হতে পারে না, হবেও না। ফলে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়াও হবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, নির্বাচন কমিশন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু না। গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো এবং কথা খুব পরিষ্কার যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। গত কয়েকটি নির্বাচন তো আমরা দেখলাম এবং আপনারাও দেখেছেন। যে সরকার ভোটের আগের দিন রাতে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় বসে, সেই সরকারের অধীনে আমরা (বিএনপি) কীভাবে নির্বাচনে যাই? আর যে সরকার আমার নেত্রীসহ (খালেদা জিয়া) বহু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে রেখেছে, অনেক নেতাকর্মীকে গুম-খুন করেছে।
বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করতে পারবে কি না জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি ইতোপূর্বে বহুবার দাবি আদায় করেছে। এবারও করবে। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার।
আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তার করে সরকার কাকে খুশি করতে চাইছে প্রশ্ন রেখে সাবেক এ মেয়র বলেন, এমন কাউকে খুশি করতে চায়? গত ছয় মাসে অনেক আলেমকে এই সরকার গায়েব করে দিয়েছে। আজও এখান থেকে ওলামা দলের নেতা মুফতি ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ওলামা দল এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।