যেভাবেই হোক কিশোর গ্যাংকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে : র্যাব ডিজি
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘যেভাবেই হোক কিশোর গ্যাং কালচারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে কোনোভাবে আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। এর জন্য দরকার জনসচেতনতা।’
আজ শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘সোশ্যাল মিডিয়ার অবাধ ব্যবহারে কিশোর গ্যাং বৃদ্ধি পাচ্ছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র্যাব ডিজি এ কথা করেন।
আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ২৭২ এর বেশি কিশোর গ্যাং সদস্যকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। আমাদের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এর বাইরে একটা উইন্ডো খোলা থাকবে, যাতে কেউ চাইলে গ্যাং কালচার ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।’
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে ইন্টারনেট বাদ দিয়ে চলতে পারব না। মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলব না, ওষুধ দেব। প্রযুক্তিকে অস্বীকার করা বা ফেলে দেওয়া ঠিক হবে না, এর মাঝে থেকেই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।’
আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, ‘দেশে-বিদেশে যখন ভ্রমণে যাই, মনে হয়েছে আমাদের সমাজে পারিবারিক বন্ধনটা সুদৃঢ়, এটা গর্বের বিষয়। এ কারণে আমরা চাইলেই বিচ্ছিন্ন হতে পারি না। এই বন্ধনটা ইতিবাচকভাবে ধরে রাখা প্রয়োজন। পরিবার, সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সবার অবস্থান থেকে যার যার দায়িত্ব পালন করলে আমরা কিশোর গ্যাংককে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হব।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ছায়া সংসদে স্পিকারের ভূমিকা পালন করেন। বিতর্কে সরকারি দল হিসেবে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ এবং বিরোধী দল হিসেবে সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। সমান নম্বর পাওয়ায় দুই দলকেই যৈথভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে ট্রফি প্রদান করা হয়।