মহিষ ডাকাতির পর কেটে বিক্রি, চামড়াসহ গ্রেপ্তার দুই
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে দুটি মহিষ ডাকাতি করে ডাকাতরা। পরে তার মধ্যে একটি মহিষ জবাই করে মাংস বাজারে বিক্রি করে দেয়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানার সদস্যরা আজ শনিবার সাভারের ধামরাই এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মহিষ, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ও একটি মহিষের চামড়া জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকার মো. মাসুদ (২৮) ও সদর উপজেলার বাঘিল এলাকার জুয়েল রানা (২৮)। তারা ঢাকার আশুলিয়া থানার বাইপাইল এলাকায় থাকেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কোনাবাড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে একটি পিকআপে করে দুটি মহিষ কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখোলা মঠবাড়িয়া এলাকার রানা মণ্ডলের খামারে নেওয়া হচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি বাইশমাইল ব্রিজের কাছে অপর একটি পিকআপ নিয়ে সাত থেকে আটজন মহিষবাহী ওই পিকআপের গতিরোধ করে। এ সময় ডাকাতরা চালক ও চালকের সহকারীকে (হেলপার) মারধর করে মহিষ দুটি নিজেদের পিকআপে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। তারা সাভারের দিকে যায়। পরদিন শুক্রবার এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন মহিষবাহী পিকআপের চালক আরিফুল ইসলাম।
ওসি আরও জানান, মামলা করার ১০ ঘণ্টার মধ্যে আজ শনিবার ভোররাতে কোনাবাড়ি থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সাভারের ধামরাই এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় একটি মহিষসহ ডাকাতদলের ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও আরেকটি মহিষের চামড়া জব্দ করা হয়। ওই মহিষটি জবাই করে স্থানীয় বাজারে মাংস বিক্রি করা হয় বলে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।