ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে ৭০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার সময় ৭০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ হয়েছেন। ‘অ্যালার্ম ফোন’ নামের একটি সহায়তা সংস্থা গতকাল শনিবার এই তথ্য জানায়।
পৃথকভাবে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, ভূমধ্যসাগর থেকে ৮৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ও দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের নৌকা করে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে আনা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ রয়েছে।
অ্যালার্ম ফোন ও ইউএনএইচসিআর একই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কথা বলছে কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
অ্যালার্ম ফোন বলেছে, প্রায় ৭০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে একটি নৌকা ত্রিপোলির পশ্চিমের খোমস বন্দর থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপ অভিমুখে যাত্রা করে। এই যাত্রার পর চার দিন ধরে নৌকাটি নিখোঁজ।
অ্যালার্ম ফোন জানায়, তারা যখন নৌকাটির সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে, তখন সেটি ইতালীয় জলসীমার ১১ মাইল দূরে মাল্টা এসএআর (অনুসন্ধান ও উদ্ধার) অঞ্চলে ছিল। কিন্তু তাঁদের চিহ্নিত বা উদ্ধারের কোনো তথ্য নেই। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ।
ইউএনএইচসিআর এক টুইটে বলেছে, গতকাল ৮৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ভূমধ্যসাগর থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের ত্রিপোলিতে নিয়ে আসা হয়। উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে আট নারী ও তিনটি শিশু রয়েছে।
ইউএনএইচসিআর জানায়, এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যে নৌকায় করে সমুদ্রপথে যাত্রা করেছিলেন, সেটি ছিল রাবার ও কাঠের তৈরি। বিপজ্জনক এই সমুদ্রযাত্রায় ৪০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) গত মাসের শুরুর দিকে জানায়, চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টাকালে অন্তত এক হাজার ৩৬৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন।