নলছিটিতে সরকারি জমি বন্দোবস্তে ঘুষ দাবির অভিযোগ
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় সরকারি জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার কথা বলে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও চেইনম্যানের বিরুদ্ধে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেছে একটি ভূমিহীন পরিবার। ঘুষের টাকা না দেওয়ায় তাদের বসতঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে পরিবারটি।
আজ সোমবার দুপুর ১২টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলার বহরমপুর গ্রামের নদী ভাঙনে ভূমিহীন সাজেদা বেগম (৫৫)। সংবাদ সম্মেলনে তাঁর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তাঁর ছেলে ইয়াসিন আকন।
লিখিত বক্তব্যে সাজেদা বেগম অভিযোগ করেন, সুগন্ধা নদীর ভাঙনে তাদের বহরমপুর এলাকার বসতভিটা বিলিন হয়ে যায়। সর্বস্ব হারিয়ে তাঁর স্বামী আবদুল লতিফ হাওলাদার নদীর বিপরীত তীরে ফেরিঘাট এলাকায় জেগে ওঠা চরের ১০ শতাংশ সরকারি জমিতে বসতঘর নির্মাণ করেন। ওই জমিতে ৩২ বছর ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তাঁরা। জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন আবদুল লতিফ আকন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এতে প্রকৃত ঘটনা জানতে নলছিটি ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার বজলুর রশিদ ও চেইনম্যান আবদুল জলিল সরেজমিনে যান। ভূমি অফিসের ওই দুই কর্মচারী জমি বন্দোবস্ত পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ভূমিহীন আবদুল লতিফের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ ঘটনায় দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিলে ক্ষিপ্ত হয় উপজেলা প্রশাসন। গত ১৮ মার্চ সকালে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসে তাদের বসতঘর ভেঙে উচ্ছেদ করে অন্য একটি পরিবারকে সেখানে উঠিয়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা অবস্থায় আবদুল লতিফ গত ২৩ মার্চ মারা যান।
ঘুষ দাবি করা ওই দুই সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। পাশাপাশি ওই জমি তাদের নামে বন্দোবস্ত দেওয়ার দাবি করেন ভূমিহীন পরিবারটি।
এ ব্যাপারে সার্ভেয়ার বজলুর রশিদ বলেন, ‘সরকারি জমি দখল করায় নিয়মানুযায়ী তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। ঘুষ দাবির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’