শাহরুখকে বিপাকে ফেলতেই কি আরিয়ান গ্রেপ্তার?
বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানকে বিপাকে ফেলতে তাঁর ছেলে আরিয়ান খানকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে—এমনটি ধারণা করছেন বলিউড-সংশ্লিষ্টসহ ভক্তদের অনেকে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
ইন্ডিয়া টুডের খবর, মাদক মামলায় ছেলে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে শাহরুখ খানের পাশে দাঁড়িয়েছে বলিউড তারকাদের অনেকে। সেই তালিকায় প্রথমে আছেন বলিউড ভাইজান সালমান খান, তাঁর বোন আলভিরা খান, দীপিকা পাড়ুকোন, করণ জোহর, কাজল, রানি মুখার্জি, রোহিত শেঠি, আনন্দ এল রাই, আদিত্য চোপড়া, হংসল মেহতাসহ অনেকে।
হৃতিক রোশনের প্রাক্তন স্ত্রী সুসান খান তো বলেই দিয়েছেন অবৈধ মাদক নিয়ে বলিউডকে টার্গেট করা হয়ে থাকে অযাচিতভাবে। অন্তর্জালে তিনি আরিয়ানকে ভালো ছেলে উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমার মনে হয় এটা আরিয়ান খানের কথা নয়, কারণ তিনি দুর্ভাগ্যবশত ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলেন, এই পরিস্থিতিকে কিছু লোকের উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করা হচ্ছে। যা হয়েছে তা দুঃখজনক এবং অন্যায়। আরিয়ান অত্যন্ত ভালো ছেলে। আমি শাহরুখ এবং গৌরী খানের পাশে আছি।’
তবে এনসিবির আঞ্চলিক পরিচালক সমীর ওয়াংখেড়ে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘আমরা কাউকে টার্গেট করিনি। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে কিছুই করিনি। গেল ১০ মাসে আমরা তিনশর বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছি। তাঁদের মধ্যে চার থেকে পাঁচ জন সুপরিচিত। তাহলে কীভাবে আপনারা বলতে পারেন, আমরা কাউকে টার্গেট করেছি? গত এক বছরে যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁরা মাদক-সম্পর্কিত অপরাধী।’
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে গতকাল ফের জামিন না দিয়ে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছেন আদালত। মাদককাণ্ডে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জেরার পর ৩ অক্টোবর বিকেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার দেখায় এনসিবি। সেদিন সন্ধ্যায় মেডিকেল চেকআপের পর আদালতে তোলা হলে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাঁকে এক দিনের হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এনডিপিএসের ৮সি, ২০, ২৭ ও ৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
মুম্বাইয়ের উপকূলে একটি প্রমোদতরীতে চলমান মাদক পার্টি থেকে ২ অক্টোবর রাতে আরিয়ান খানসহ মোট আট জনকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। জেরার পর সেখান থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। যাত্রীর ছদ্মবেশে কর্ডেলিয়া নামে বিলাসবহুল ওই প্রমোদতরীতে চেপে বসেছিলেন এনসিবির গোয়েন্দারা।