হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া
ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। শরীরে জ্বর নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
বিকালে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হয়ে হাসপাতালে পৌঁছান খালেদা জিয়া। কিছুদিন ধরে অসুস্থ বোধ করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। গত সপ্তাহে জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতেই মূলত তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কয়েকদিন সময় লাগতে পারে, তাই হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের ১০বি ওয়ার্ডের ১০২০৪ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়।
এর আগে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ‘কয়েকদিন ধরে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা ভালো না। উনার শরীরের তাপমাত্রাও বেশি। তাই বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উনাকে আজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
শায়রুল কবির খান বলেন, ‘ম্যাডামকে হাসপাতালে নেওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ফিরোজায় কিছু সময় থেকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়ে গেছেন।’
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুরুতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছিল বিএনপি চেয়ারপারসনের। ১৫ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করানো হয় তাঁর। এরপর ফিরিয়ে আনা হয় গুলশানের বাসভবনে। অবস্থার অবনতি হলে ২৭ এপ্রিল একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি প্রধানকে।
৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বিএনপি থেকে খালেদা জিয়ার করোনামুক্তির খবর দেয়া হয় ৯ মে। তবে সিসিইউতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়। ১৯ জুন বাসায় ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।