জবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত সাত শতাংশ
দেশের ২০টি সাধারণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি)। আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলে এক ঘণ্টা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও অনুপস্থিত ছিল সাত শতাংশ। এদিকে তীব্র যানজটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরও কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করানো হয়। এ সময় পরীক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মাপা হয় ও জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়।
পরীক্ষার হল পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি জাতীয় অর্জন। দেশে প্রথমবারের মতো সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কষ্ট লাঘব করতেই গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা আনন্দঘন পরিবেশে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমাদের উদ্যোগ সফল হয়েছে।’
অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক আরও বলেন, ‘যেহতু প্রথমবার আমরা এ নিয়মে পরীক্ষা নিচ্ছি তাই কিছু সমস্যা থাকবেই। পরবর্তীতে এসব সমস্যা দূর হয়ে যাবে বলে আশা রাখছি।’
লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রায় ৯৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।’
নিরাপত্তাসহ পরীক্ষার কেন্দ্রের বাইরের সার্বিক বিষয়ে জবির প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। এ ছাড়া আমাদের বিএনসিসি, রোভার, রেঞ্জার এরা একটিভ ছিল। তাঁরা ক্যাম্পাসের ভিতরে শিক্ষার্থীদের হল দেখিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছে। প্রক্টরিয়াল টিমও কাজ করেছে।’
যানজটের বিষয়ে ড. মোস্তফা কামাল বলেন, যেহেতু রোববার সব অফিস খোলা, এজন্য পুলিশ বলেছে রোড ক্লিয়ার রাখব, কোন পরীক্ষার্থী যদি বেশি সমস্যা অনুভব করে তাঁদের পুলিশের গাড়িতে করে পৌঁছানো হবে। তাই কর্মদিবস হওয়াতে এক ঘণ্টার জন্য রাস্তা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে একদিনে একযোগে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত পরীক্ষার্থীরা।
দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত হয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। এতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য—এই তিনটি ইউনিট রয়েছে। আসন রয়েছে মোট ২২ হাজার ১৩টি। এর বিপরীতে আবেদন করেছেন দুই লাখ ৩২ হাজার ৪৫৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে এক লাখ ৩১ হাজার ৯০১ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৬৭ হাজার ১১৭ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৩৩ হাজার ৪৩৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। দেশের মোট ২৬টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।