সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা
সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগের সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রার সঙ্গে একাত্ম হয়ে সমাবেশে অংশ নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে সমাবেশ করেন নেতাকর্মীরা ।
এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘যেখানেই এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের দেখবেন সেখানেই তাদের গণধোলাই দিবেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে সর্বক্ষেত্রে, সবখানে। আর সময় নেই ঘরে বসে থাকার।’
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জয় বলেন, ‘মৌলবাদী শক্তি, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনকে সামনে রেখে মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। তাই আমি অনুরোধ করব সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কোনো মৌলবাদের স্থান হবে না। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে আগামী দিনে তাদের বিষঁদাত ভেঙে দেওয়া হবে।’
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
একইসঙ্গে সারাদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সব ইউনিট (জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, উপজেলা, থানা, পৌর) একযোগে নিজ নিজ ইউনিটে চলমান সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করে।
দুর্গাপূজার মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের একটি মন্দিরে কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনীসহ কয়েকটি জেলায় মন্দিরে হামলা হয়, তাতে নিহত হয় অন্তত ছয়জন। এ ছাড়াও রংপুরে হিন্দুদের জেলেপল্লিতে হামলার পর গতকাল আওয়ামী লীগ থেকে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়।