নির্বাচনি সহিংসতা : নরসিংদীতে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
আধিপত্য বিস্তার এবং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার একটি গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে রায়পুরার পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এরই মধ্যে আহতদের উদ্ধার করে রায়পুরাসহ নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দুজনের মরদেহ রায়পুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।
নিহতেরা হলেন—কাচারিকান্দি গ্রামের সাদির মিয়া (২২) এবং একই গ্রামের হিরন (৩৫)। আর, গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতেরা হলেন—রমজান (১৮), মোকলেস (২২) আহিদ মিয়া (৪৩) জজ মিয়া (১৪) শামসুনাহার (৩৪) দানা মিয়া (৬০) এবং আলামিন মিয়া (২০)। এ ছাড়া টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন নাজির (২১), নাজমা (২৪), দানিস মিয়া (২৪) এবং মো. হক মিয়া (৫০)।
আহতেরা সবাই কাচারিকান্দি গ্রামের ছোট শাহ আলমের সমর্থক। তাঁদের মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় জজ মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাচারিকান্দি গ্রামে শাহ আলম মেম্বার এবং একই গ্রামের ছোট শাহ আলমের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে ছয় মাস আগে দুই গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে ছোট শাহ আলম গ্রুপের ইয়াসিন ও শাহিন নামের দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় বড় শাহ আলম গ্রুপের সদস্যেরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। এরই মধ্যে ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়।
ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য শাহ আলম মেম্বারের লোকজন গ্রামে ঢোকার চেষ্টা চালায়। এর ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার ভোরে শাহ আলম মেম্বারের সমর্থকেরা টেঁটা-বল্লম ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রামে ঢুকে ছোট শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছোট শাহ আলমের সমর্থকেরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। একপর্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ছোট শাহ আলম গ্রুপের সাদির (২২) ও হিরন (৩৫) নামের দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় আট জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। এর পর আহতদের উদ্ধার করে রায়পুরাসহ নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর শাহ আলম মেম্বার এবং তাঁর সমর্থকেরা ভোরে গ্রামে ফিরে আসে এবং প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এতে দুজন নিহত হয় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।