উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাসব্যাপী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭২
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনার পর থেকেই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এরই মধ্যে অভিযান চালিয়ে এ হত্যা মামলার আসামিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১৭২ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নাইমুল হক জানান, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তথাকথিত আরসা নামধারী সন্ত্রাসী সংগঠনের ১১৪ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, চোরাকারবারী, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আরও ৫৮ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, এই অভিযানে মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে আজিজুল হক নামের একজনসহ তিন আসামি কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এসপি মো. নাইমুল হক আরও জানান, এই অভিযানে ১১ হাজার ২৯৪টি ইয়াবা, ৪০ গ্রাম গাঁজা, চারটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, চারটি কার্তুজ, ৭.৬২ চায়না রাইফেলের দুটি গুলি, ১৪টি রামদা, পাঁচটি লোহার হাসুয়া, একটি কিরিচ, ১২টি দা, তিনটি লম্বা আকৃতির ধামা, একটি ছোরা ও একটি রড উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা ৬০০ কেজি চাল, ৮৯ লিটার তেলসহ বিপুল পরিমাণ খাদ্যপণ্য উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত পাঁচটি মামলা, ডাকাতির প্রস্তুতির পাঁচটি মামলা, ১৩টি মাদক মামলাসহ মোট ২৫টি মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টে আরও ৫৯টি মামলা করা হয়। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় এবং ৫৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এপিবিএনের অধিনায়ক আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। আমরা চাই, সাধারণ রোহিঙ্গারা ভালো থাকুক। তথাকথিত দুর্বৃত্তদের গ্রুপের নাম করে কাউকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করতে দেওয়া হবে না।