ইয়েমেনে মসজিদ-মাদ্রাসায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু হতাহত
ইয়েমেনের মারিব প্রদেশে একটি মসজিদ ও মাদ্রাসায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নারী ও শিশুসহ ২৯ জন হতাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী। সোমবার টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ হামলার জন্য হুতি বিদ্রোহীদের দায়ী করেছেন তিনি। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
রোববার রাতের এ হামলায় দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মারিবের গভর্নর দপ্তর।
হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে ইরান সমর্থিত হুতিরা এর দায় স্বীকার বা অস্বীকার করে কোনো বিবৃতি দেয়নি।
সম্প্রতি ইয়েমেনে সরকারি বাহিনীগুলো ও হুতিদের মধ্যে লড়াই তীব্র হয়ে উঠেছে। শুধু সেপ্টেম্বরেই মারিবে লড়াইয়ের কারণে প্রায় ১০ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এই প্রদেশটি ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলে দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের শেষ শক্তিকেন্দ্র।
যুদ্ধ ও ইয়েমেনের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি হুতি অধিকৃত অঞ্চলের পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ থাকায় দেশটির এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ অনাহারের মুখে আছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বিষয়টিকে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট বলে অভিহিত করেছে অভিভাবক সংস্থাটি।
২০১৪ সালের শেষ দিকে ইয়েমেনের সৌদি আরব সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাজধানী সানাসহ দেশটির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। এরপর ২০১৫ সালের মার্চে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন একটি জোট বাহিনী ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে।
হুতিদের দাবি হলো, তারা একটি দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন ও বিদেশি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।