কাল থেকে বাস-ট্রাক বন্ধের ঘোষণা মালিক-শ্রমিকদের
আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে সারা দেশে গণপরিবহণ ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন মালিক-শ্রমিকেরা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর ভাড়া সমন্বয় না করা পর্যন্ত পরিবহণ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ সাংবাদিকদের জানান, ২০১৯ সালে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে বিআরটিএ প্রস্তাব তৈরি করে। করোনার সময় সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। এর মধ্যে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে আবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এ অবস্থায় বাস চালিয়ে আয় দূরে থাক, লোকসান গুনতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন জেলার পরিবহণ মালিকেরা বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে প্রতি লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়ানো হয় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম। নতুন দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকেই এটি কার্যকর করা হয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রাতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ এসবের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করছে। গত ১ নভেম্বর ভারতে ডিজেলের বাজারমূল্য প্রতি লিটার ১২৪ দশমিক ৪১ টাকা বা ১০১ দশমিক ৫৬ রুপি ছিল। অথচ বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৬৫ টাকা, অর্থাৎ লিটার প্রতি ৫৯ দশমিক ৪১ টাকা কম।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমান ক্রয়মূল্য বিবেচনা করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ডিজেলে লিটারপ্রতি ১৩ দশমিক শূন্য ১ এবং ফার্নেস অয়েলে লিটার প্রতি ৬ দশমিক ২১ টাকা কমে বিক্রি করায় প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। গত অক্টোবরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিভিন্ন গ্রেডের পেট্রোলিয়াম পণ্য বর্তমান মূল্যে সরবরাহ করায় মোট ৭২৬ দশমিক ৭১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার শুধু ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২২ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন এবং সংশোধনীসহ অন্যান্য সব বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম পণ্যের মূল্য হ্রাস করে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল।