মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
কয়লা খনি কর্তৃপক্ষের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা বৈগ্রাম বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘খনির কয়লা উত্তোলনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার স্থানীয় শ্রমিক খনির সূচনা থেকে প্রায় ২০ থেকে ২২ বছর ধরে ৪০ থেকে ৪৫ তাপমাত্রায় ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলন করছেন। আমাদের রক্ত কনিকায় কয়লা মিশে গেছে। এই শ্রমের ঘাম ঝরানো প্রতিটি ফোটায় মিশে আছে প্রধানমন্ত্রী তার প্রয়াত পিতা বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার বিনির্মাণের স্বপ্ন। গত বছরের ২৬ মার্চ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সরকারঘোষিত লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করছিলাম। এরই মধ্যে কোম্পানির উন্নয়ন ও উৎপাদন সচল রাখার লক্ষে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকদের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় শ্রমিকদের কাজে যোগদান করার তালবাহানা করায় চুক্তি মোতাবেক আমরা কথা বলতে গেলে তারা গত বছরের ২৫ জুলাই শ্রমিকসহ নেতাকর্মীদের নামে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪১ জন এবং এ বছরের ৮ মার্চ একই আইনে ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। বর্তমানে মামলা দুটি চলমান রয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করে কয়লা খনিটি বন্ধ করার পায়তারা করছে। আর খনি থেকে কোটি কোটি টাকার কয়লা লুটপাট করছে খনির কতিপয় দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তা। আর আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করছি।’
খনিতে কিছু শ্রমিককে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ১৯ মাস ধরে খনি কর্তৃপক্ষ আমাদের হয়রানি করছে। নিরুপায় হয়ে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হচ্ছি। আমাদের তিন দফা দাবি মেনে না নিলে চলতি মাসেই আমরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব। তার দায়ভার খনি কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পদক মো. আবু সফিয়ান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম রতন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, অর্থ সম্পাদক হযরত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মানিকসহ সংগঠনের ৫ শতাধিক খনি শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।