পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘ডিজেলের দাম বৃদ্ধি আসলেই চিন্তার বিষয়। তবে কোথাও পৃথিবীর সব কিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে নয়। সরবরাহ এবং চাহিদার ওপর নির্ভরশীল। কারণ ডিজেল কিংবা পেট্রোল আমরা তৈরি করি না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘মূলত যেখানে ডিজেল কিংবা পেট্রোল উৎপাদন হয় আর সেখানকার মহাজনরা যখন দাম বাড়ায়, তখন আমাদের বাধ্য হয়ে সেই দামে কিনতে হয়। আর সেই দামগুলো কাউকে না কাউকে বহন করতে হবে। পরিশেষে যারা এটা ভোগ করে তাদের ওপর এটা গড়িয়ে চলে আসে।’

আজ শনিবার দুপুরে ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হাসনরাজা মিলনায়তনে ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার ডিজেলের দাম বাড়ার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাহিরে আছেন সেখানে থেকেই তিনি বাংলাদেশের সব খোঁজখবর রাখছেন। আমরা চেষ্টা করব যাতে ব্যথাটা কমে। তবে ধর্মঘট করে হরতাল করে বেশি একটা উপকার হবে না। সবার মতপ্রকাশ করার অধিকার আছে। তবে ধর্মঘটের সমাধান না। এক জায়গায় বসে ঠাণ্ডা মাথায় এটি সমাধানের চিন্তা করতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নিম্ন আয়ের মানুষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন খুব ভালবাসেন। তাদের কথা সব সময় চিন্তা করেন, কী করে তাদের জীবনে উন্নতি করা যায় সে বিষয়ে তিনি সর্বদা কাজ করে যাচ্ছেন।’

এর আগে ৫০তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বেলুন উড়িয়ে সমবায় দিবসের উদ্বোধন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী। পরে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হাসন রাজা মিলনায়তনে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

এছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নিলীমা চন্দ্র ও  জেলা সমবায় কর্মকর্তা বশির আহমদ।