কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ
সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য বসতঘর নির্মাণ করে রাখা হয় কেয়ারটেকার। সেই কেয়ারটেকারই এখন জমি দখল করে মামলা দিয়েছেন প্রকৃত মালিক ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ট্রেড প্রশিক্ষক চন্দ্রিমা রিমুর বিরুদ্ধে। তাঁর সঙ্গে আসামি করা হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ২২ জনকে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন চন্দ্রিমা রিমু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে চন্দ্রিমা রিমু দাবি করেন, তিনি রাজাপুর উপজেলার পশ্চিম নৈকাঠি এলাকার মিল্লাত হোসেনের মেয়ে এবং অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার সিকদারের স্ত্রী। তাঁর স্বামী ১৯৯৫ সালে ১৩ শতাংশ জমি কিনেন। চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি স্বামীর কাছ থেকে তিনি ওই জমির মালিকানা নেন। যা তাঁর নামে বিএস রেকর্ড সম্পন্ন হয় ২০০৫ ও ২০০৬ সালে। সম্পত্তি দেখাশোনার জন্য কেয়ারটেকার হিসেবে স্বামীর সৎ বোনের ছেলে শহিদুল ইসলাম শহিদকে কাঠের ঘর তুলে দেন। সেই ঘরেই শহিদুল পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। শহিদ ঢাকায় একটি বাড়ির গার্ড হিসেবে চাকরি পেলে তাঁর মা, স্ত্রী ও সন্তানকে ওই জমি দেখাশোনার জন্য রেখে যান। জমিতে তিনি ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নিলে শহিদকে কেয়ারটেকারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এতেই শহিদুল ক্ষিপ্ত হয়ে গালাগালি করে জমির মালিকানা দাবি করেন।
গত ৪ নভেম্বর লেবার পাঠিয়ে কাজ শুরু করলে শহিদ লোকজন নিয়ে বাধা দেন। এ ঘটনায় শহিদ উল্টো বাদী হয়ে রাজাপুর থানায় ২২ জনকে আসামি করে একটি ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা দায়ের করেন। গত ৭ নভেম্বর ঝালকাঠির আদালত থেকে তারা জামিনে মুক্ত হন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিমুর বোন মরিয়ম সিমু, অটোরিকশাচালক নবাব আলী হাওলাদার, প্রতিবেশী কামাল হোসেন, গৃহকর্মী তানিয়া বেগম প্রমুখ।