মাসিক বন্ধ হওয়ায় হতাশ?
মেনোপজ বা ঋতুস্রাব একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়া নারী-শরীরের একটি স্বাভাবিক সমস্যা। বয়স হলে সব নারীদেহেই এই প্রাকৃতিক বিষয়টি ঘটে। তবে এতে ঘাবড়ে না গিয়ে কিছু বিষয় মেনে চললে এই সময়টিকে অতিক্রম করে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করা সম্ভব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে মেনোপজ সম্পর্কে জানিয়েছেন পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অবস ও গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জয়শ্রী সাহা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. মুনা তাহসিন।
যাঁদের একটু তাড়াতাড়ি মেনোপজ শুরু হয়ে যায়, তাঁদের মধ্যে কিছুটা হতাশা দেখা দেয়। যেমন ফার্টিলিটি কমে যাবে বা মনস্তাত্ত্বিক কিছু পরিবর্তন আসে। কীভাবে রোগীদের কাউন্সেলিং করেন? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. জয়শ্রী সাহা বলেন, রোগী যখন প্রথম বুঝতে পারে যে তার মাসিকটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অথবা পরিমাণটা কমে যাচ্ছে বা একটু অনিয়মিত হচ্ছে; তখনই তাঁদের সাইকোলজিক্যাল ইফেক্ট শুরু হয়ে যায়। যেমন বিষণ্ণতা বা হতাশা। সেইসঙ্গে একটু মুড সুইং করে। দেখা যায়, ছোটখাটো ব্যাপারকেই ওনারা বড় করে দেখছেন। এ ধরনের প্রবলেমগুলো মেয়েদের হয়ে থাকে। ভুলে যাওয়ার প্রবণতা কাজ করে।
ডা. জয়শ্রী সাহা আরও বলেন, এ সময় পরিবারের সদস্যদের সাপোর্ট অনেক বেশি জরুরি। বিশেষ করে তাঁর লাইফ পার্টনার বা হাসব্যান্ড, সাথে তাঁর বাকি ফ্যামিলি মেম্বাররাও যদি তাঁকে একটু হেল্প করে; আর তার সঙ্গে আমরা তো আছিই। এ সময়টাতে আমরা কাউন্সেলিং করি এবং বোঝাই, মেনোপজ মানেই যে আপনার জীবনের সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে, তা কিন্তু নয়।
মেনোপজ কী, মেনোপজের সঠিক বয়স কত, এ সময় নারীরা কী ধরনের সমস্যায় ভোগেন ও এর প্রতিকারই বা কী, এসবের বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।