সাংসদ একাব্বর হোসেন আর নেই
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সাংসদ, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ইন্তেকাল করেন।
মির্জাপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সাংসদ একাব্বর হোসেনের সাবেক এপিএস শামীম আল মামুন খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
আজ সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে সাংসদ একাব্বর হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর মির্জাপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
শামীম আল মামুন জানান, কিডনিজনিত অসুস্থতার কারণে আলহাজ একাব্বর হোসেন নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতেন। গত ১৯ অক্টোবর ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে গেলে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ২০ অক্টোবর সিটি স্ক্যান রিপোর্টে তিনি ব্রেইনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে চিকিৎসক নিশ্চিত হন।
মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জাতীয় সংসদে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
একাব্বর হোসেন ১৯৫৬ সালের ১২ জুলাই মির্জাপুর উপজেলার পোষ্টকামুরী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আলহাজ ওয়াজউদ্দিন এবং মায়ের নাম রেজিয়া বেগম। তিনি ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস সম্মান ও ১৯৭৮ সালে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
১৯৭৩ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজে পড়াকালীন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৭৮ সালে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯০ সালে একাব্বর হোসেন মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে, দুই মেয়ের জনক।