মওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আজ ১৭ নভেম্বর মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। নানা কর্মসূচিতে মজলুম জননেতার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
আজ বুধবার সকালে টাঙ্গাইল পৌর শহরের সন্তোষে ভাসানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান।
এরপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-শিক্ষার্থী, মওলানা ভাসানীর পরিবার, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও মওলানা ভাসানীর ভক্ত অনুসারীরা মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, বাউল গান পরিবেশন, মিলাদ, দোয়া মাহফিল, ওরস এবং দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তাঁর জীবনের সিংহভাগ সময়ই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তাঁর কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। সারা জীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তাঁর উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতার পর তাঁর সর্বশেষ কীর্তি ছিল ‘ফারাক্কা লং মার্চ।’