কিশোরীর মৃত্যু : রাইদা বাসের চালক ও হেলপারের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাস থেকে ‘পড়ে’ মরিয়ম আক্তার নামে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে মৃত্যুর ঘটনায় রাইদা পরিবহণের গাড়িচালক মো. রাজু মিয়া ও তার সহকারী ইমরান হোসেন আদালত স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
আজ বুধবার ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। বিষয়টি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রণপ কুমার ভক্ত এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
রণপ কুমার ভক্ত বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই দিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) হাসান পারভেজ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ আসামি রাজু মিয়ার এবং আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী ইমরান হোসেনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জিআরও বলেন, বিচারক আসামিদের জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, গত ১৪ নভেম্বর দুই আসামির দুই দিন করে রিমান্ড দেন আদালত। আজ তাদের রিমান্ড শেষ হলে বিচারক আদালতে হাজির করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মরিয়ম আক্তার ফুল বিক্রি করতো এবং হাতে আবেদনসংবলিত কাগজ নিয়ে পথচারী ও বাসযাত্রীদের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইতো। সে খিলক্ষেত থানার কুড়াতলী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত। গত ৯ নভেম্বর ভোরে বাসা থেকে বের হয় মরিয়ম। এরপরে প্রগতি সরণির ফুটপাতে ময়লার স্তূপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সড়ক পরিবহণ আইনে একটি মামলা করেন মরিয়মের বাবা প্রাইভেটকার চালক রনি মিয়া।