পদ্মশ্রী কেড়ে কঙ্গনাকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর দাবি
সিনে পর্দার বাইরে সব সময় আলোচনায় থাকতে পছন্দ করেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌত। তাই তো বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের যেকোনো ইস্যুতে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করে আলোচনায় থাকতে চান। এ জন্য তাঁকে অনেকে ‘বিতর্কের রানি’ বলেও আখ্যা দেন।
সম্প্রতি কঙ্গনা রনৌত ভারতের কৃষক আন্দোলনকে খালিস্তানি আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর, এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার কঙ্গনা রনৌতের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন দিল্লি শিখ গুরুদুয়ারা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মনজিন্দর সিং সিরসা। তিনি শিরোমণি আকালি দলের (এসএডি) নেতাও। অভিযোগ, শিখ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা। অভিযোগটি মন্দির মার্গ পুলিশ স্টেশনের সাইবার বিভাগে দাখিল করা হয়।
মনজিন্দর সিং বলেন, কঙ্গনা রনৌতকে হয় জেলে, নয় মানসিক হাসপাতালে পাঠানো উচিত। কঙ্গনার ওই পোস্ট তাঁর বাজে মানসিকতা বহন করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মনজিন্দর সিং বলেন, ‘ইনস্টাগ্রামে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য আমরা সরকারের কাছে তাঁর কঠিন শাস্তি দাবি করছি। তাঁর নিরাপত্তা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার দ্রুত কেড়ে নেওয়া হোক। তাঁকে হয় জেলে, নয় মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হোক।’
ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনা রনৌত লিখেছিলেন, ‘খালিস্তানি জঙ্গিরা হয়তো এখন সরকারের হাত আটকে রেখেছে। তবে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না সেই একজন নারীর কথা (ইন্দিরা)। তিনি তাঁদের (শিখদের) নিজের জীবনের বিনিময়ে মশার মতোই পিষেছিলেন। তথাপি তিনি দেশকে ভাগ হতে দেননি। এমনকি তাঁর মৃত্যুর কয়েক দশক পরও এখনও তাঁর শুনে ওরা ভয়ে কাঁপে।’