সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নৌকা প্রতীকের ২ প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
মুন্সীগঞ্জে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে পাশাপাশি দুটি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ রোববার রাত ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সফিউদ্দিন মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন খান আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় আমার কর্মীদের নানা ভাবে হুমকিধমকি দিচ্ছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা। নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারে যারা যাচ্ছে তাদেরও বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরও বলেন, পঞ্চসার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সফি অবৈধভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণ করছেন এবং যারা নৌকার পক্ষে তাদের হুমকি দিচ্ছেন।
এ ছাড়া ডিঙ্গাভাঙ্গার মোস্তফা, মুক্তারপুরের মাসুদ, মুসা, হুমায়ুন অস্ত্র প্রদর্শন করে এলাকার ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছেন। বর্তমানে নির্বাচনের যে পরিবেশ বিরাজ করছে এমনভাবে চলতে থাকলে নির্বাচন করব কি না, তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হাওলাদার, মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মাওলা তপন, জেলা পরিষদ সদস্য ও পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সমন্বয়ক রোমান সিরাজি, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হামিদুল খান আজম।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রেসক্লাবের সফিউদ্দিন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মোশারফ হোসেন। তিনি ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বাচ্চু শেখ তার সন্ত্রাসীদের দিয়ে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন এবং কোথাও কোথাও হামলা করেছেন। বাচ্চু শেখ ও তার সহযোগীদের বাড়িতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছেন এবং বিপুল অস্ত্র মজুদ করেছেন। বাচ্চু শেখ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের প্রতিদিন প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি নির্বাচিত হতে না পারলে যিনি নির্বাচিত হবেন তাকে খুন করে পুনরায় উপনির্বাচনের মাধ্যমে তিনি রামপাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হবেন বলে বলে বেড়াচ্ছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরও অভিযোগ করে বলেন, গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় বাচ্চু শেখ নিজে ও তার পালিত সন্ত্রাসীরা অস্ত্রসহ দক্ষিণ কাজী কসবা গ্রামে আমার নির্বাচনী ক্যাম্পে অবস্থানকারী আমার কর্মী মো. মোহসিন খান, আব্দুল জব্বার, আক্তার হোসেনসহ পাঁচ থেকে ছয়জন কর্মীকে হত্যার উদ্দেশে বেদম মারপিট করে আহত করেন। আমার নির্বাচনি ক্যাম্প ভাঙচুর করে ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন এবং ক্যাম্পে রাখা চেয়ার, টেবিল ভেঙ্গে উপস্থিত অনেককে আমার পক্ষে কাজ না করতে হুমকি দেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পানামে আমার নির্বাচনি প্রতীক নৌকা পুরিয়ে ফেলেন। বাচ্চু শেখ প্রতিনিয়ত আমার কর্মী-সমর্থকদের প্রাণনাশের হুমকিসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের নামে অশালীন বক্তব্য প্রদান করে যাচ্ছেন।
নৌকা প্রতীকের এ প্রার্থী বলেন, রামপাল ইউনিয়নের জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাচ্চু শেখের মজুদকৃত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং তাকেসহ স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় না আনলে রামপাল ইউনিয়নে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আনা সম্ভব নয়। তাই অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসী বাচ্চু শেখ ও তার পালিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং তাদের কাছে রক্ষিত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব কি না ভেবে দেখব।