বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমোদন
গ্লোব বায়োটেকের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানবদেহে ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মহিউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের বঙ্গভ্যাক্স টিকা মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর গ্লোব বায়োটেককে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের জন্য অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তারপর থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রতিষ্ঠানটি প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘গত ডিসেম্বর থেকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানটি গ্লোব বায়োটেকের সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছিল। সব মিলিয়ে আমাদের সক্ষমতা আছে কি না, তা যাচাই করেছে ঔষধ প্রশাসন। এরপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে।’
ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, “গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করা তিনটি ভ্যাকসিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ক্যান্ডিডেটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। ওই তিনটির একটি ‘D614G variant mRNA vaccine’। আমরা এই টিকার নাম দিয়েছি ‘বঙ্গভ্যাক্স’। মূলত এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হবে। স্বাস্থ্যসচিব টিকাটির নাম ‘বঙ্গভ্যাক্স’ করা যায় কি না, সেটা দেখতে বলেছিলেন। তারপর আমরা এই নামকরণ করি।”
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড ২০২০ সালের ২ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। এর প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের তিনটি টিকাকে অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গ্লোব বায়োটেকই বিশ্বের একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের সর্বোচ্চ তিনটি টিকা অনুমোদনপ্রার্থী তালিকায় রয়েছে।
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গভ্যাক্সের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের নীতিগত পরীক্ষার জন্য বিএমআরসির কাছে প্রটোকল জমা দেওয়া হয়। এরপর বিএমআরসির চাহিদা অনুযায়ী সংশোধিত প্রটোকল জমা দেওয়া হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি।
গত ২২ জুন বিএমআরসি মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্সের পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেয়, যদিও এর আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির দেহে পরীক্ষা করার শর্ত দেওয়া হয়। গত ১ আগস্ট প্রতিষ্ঠানটি বানরের দেহে পরীক্ষা শুরু করে, যা শেষ হয় ২১ অক্টোবর।