পরী মণিকে দফায় দফায় রিমান্ড : দুই বিচারকের বিষয়ে রায় পেছাল
চিত্রনায়িকা পরী মণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস এবং আতিকুল ইসলামের বিষয়ে রায়ের দিন পিছিয়েছেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার রায়ের দিন পিছিয়ে আদেশ দেন।
আদালতে পরী মণির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর চিত্রনায়িকা পরী মণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস এবং আতিকুল ইসলাম নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরী মণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানোর ঘটনায় দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস এবং আতিকুল ইসলামকে পুনরায় লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরী মণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো নিম্ন আদালতের দুই বিচারকের দাখিল করা ব্যাখ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। আদালত সে সময় বলেন, ‘লিখিত ব্যাখ্যায় তাঁরা হাইকোর্টকে শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা এ ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নই। বিচারকদের ব্যাখ্যায় হাইকোর্টকে আন্ডারমাইন (হেয়) করা হয়েছে।’
ওই দিন চিত্রনায়িকা পরী মণিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো দুই বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম আদালতের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরী মণিকে দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। পরী মণির মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া পরী মণির বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার সব নথি ও মামলার কেস ডকেটও তলব করা হয়েছে।
গত ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালতের রায় না মেনে মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরী মণিকে বারবার নেওয়া রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আবেদনে পরী মণিকে রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায় না মানার অভিযোগ আনা হয়।