পাকিস্তান আমলেও বাসভাড়ায় কনসেশন পেয়েছি : ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নেওয়ার দাবি বিবেচনা করার জন্য পরিবহণ মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ও কাউন্সিল অধিবেশনে এ আহ্বান জানান তিনি। তবে বেসরকারি খাতে হাফ ভাড়া নেওয়ার কোনো বিধান দেশে নেই বলে দাবি করেছেন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।
গণপরিবহণে হাফ ভাড়া কার্যকরের দাবিতে কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এই দাবিসহ আরো কিছু দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবারও ঢাকার রাজপথে সরব উপস্থিতি ছিল শিক্ষার্থীদের। এ অবস্থার মধ্যেই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জানান, বেসরকারি খাতে হাফ ভাড়া নেওয়ার কোনো বিধান নেই।
এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘বিআরটিসিতে হাফ নেওয়ার প্রভিশন (বিধান) আছে। বেসরকারি খাতে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নেওয়ার কোনো প্রভিশন নাই। শিক্ষার্থীরা আমাদেরই ছাত্র, আমাদেরই ছেলে-মেয়ে। আমি মনে করি, করোনাকালীন তারা দীর্ঘদিন পড়ালেখা করতে পারে নাই, তারা পড়ালেখার প্রতি যেন মনোযোগী হয়, তাদের প্রতি আমার এই অনুরোধ থাকবে।’
একই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দূরপাল্লার বাসের ভাড়া সঠিক নিয়মে আদায় করা হলেও রাজধানী ঢাকায় ভাড়া নিয়ে অরাজকতা চলছে। যার দায় বাস মালিকদের চেয়ে বেশি নিতে হচ্ছে সরকারকে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে কিন্তু ছাত্ররা কনসেশন (ছাড়) ভোগ করে থাকে। আমরাও পাকিস্তান আমলে কিন্তু ছাত্র যখন ছিলাম এই কনসেশন কিন্তু পেয়েছি। বিআরটিসি থেকে এ ব্যাপারে আমরা যৌক্তিক ভাড়া ছাত্রদের ব্যাপারে কনসেশনের বিষয়টি চিন্তাভাবনা করছি। আমি বিআরটিসি একা করলেই তো সমস্যার সমাধান হবে না। আমি আশা করি মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ আমাদের বিআরটিএর সঙ্গে বসবেন এবং এই সমস্যাটির একটি যৌক্তিক সমাধান সবাই প্রত্যাশা করেন।’
পর্যায়ক্রমে দেশের সব মহাসড়ককে দুই লেন থেকে ছয় লেনে উন্নীত করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।