শিশুর জন্মদাগের চিকিৎসা কী
অনেক শিশুই দাগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। একে জন্মদাগ বলা হয়। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে শিশুর জন্মদাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে শিশুর চর্মরোগ ও তার প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. রেবেকা সুলতানা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. নুসরাত জাহান দীপা।
শিশুদের যে জন্মদাগ হয়, অনেকের মুখে হয়ে থাকে, ভিজিবল জায়গায় হয়ে থাকে, সেটিকে কীভাবে রিমুভ করা যায়? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. রেবেকা সুলতানা বলেন, পেশেন্টের জন্মদাগ, বিশেষ করে কালো যেটা হয়, কালো দাগটা তো আস্তে আস্তে হালকা হয়। কিন্তু ভাইয়েরা খুবই চিন্তিত হয়ে যায়, এই দাগটা কী হবে। বিশেষ করে সেটা যদি মুখে হয়, তাহলে আর কথাই নেই। আমরা তখন তাদের কাউন্সেলিং করি। বলি, অসুবিধা নেই, ও বড় হোক। বড় হলে তখন আমরা ব্যবস্থা করে দেব। দেখা যায় ওটা খুব একটা দরকার হয় না। একটা আছে, ওটাকে মঙ্গোলিয়ান স্পট বলি, পিঠে হয়, বাটকে হয়। ওটা চলে যায়, ওটা থাকে না। একটা হয় পোর্ট ওয়াইন স্পট প্লাস হেমানজিওমা; ব্লাড ভ্যাসেলের কিছু টিউমার বা মেলফরমেশন।
এর চিকিৎসা কী। সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. রেবেকা সুলতানা বলেন, হেমানজিওমার ট্রিটমেন্টটা ইমিডিয়েটলি আমরা করি না, মাকে বলি যে ওয়েট করেন। এটা এক বছর পর্যন্ত বাড়তে থাকে। এক বছর পরে রিগ্রেস করে। পাঁচ-সাত বছর পর্যন্ত, হানড্রেট পারসেন্ট অনেক সময় রিগ্রেস হয়ে যায়। এর জন্য সময় নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।