নির্বাচনি সহিংসতার মামলায় বান্দরবানে ১৫ জন কারাগারে
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় তৃতীয় ধাপের অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা মামলায় ১৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ
বুধবার বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক নাজমুল হাসানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে দুইজনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরা হলেন মেম্বার প্রার্থী মংখ্যাইচা মারমা, চাইনলুং মারমা, অংচা থোয়াই, হ্লাপচাই মারমা, লুইচাই মং মারমা, পুর্ণসেন তংচঙ্গ্যা, অন্তসেন তংচঙ্গ্যা, সুরেশ কারবারী, মংসোয়াই মারমা, উথোয়াইপ্রু মারমা, মংক্যচিং মারমা, ধুংচি মং মারমা, মংলুচি মারমা, ময়েনু মারমা, চাইহ্লাঅং মারমা, অংক্য মারমা।
জামিনপ্রাপ্ত দুজন হলেন প্রিয় তংচঙ্গ্যা ও এ্যাক্যচিং মারমা।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ২নং চৈক্ষ্যং ইউপি নির্বাচনের দিন ৩নং ওয়াডের মমপাখই হেডম্যানপাড়া কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে মালামাল নিয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে নির্বাচন অফিসে ফেরার প্রস্তুতি নেয়। ওই ওয়ার্ডের (তালা প্রতীক) মেম্বার প্রার্থী মংখ্যাইছা মারমার নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা লোকজন নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ সময় প্রিজাইডিং অফিসারের অনুরোধে সেনাবাহিনীর টহলদল ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই ঘটনায় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সায়েম খান, মো. রাকিব উদ্দিন আহত হন এবং নিরাপত্তাবাহিনী ও আনসারে কয়েকজন সদস্য জখম হয়।
এদিকে ঘটনার পরদিন (২৯ নভেম্বর) হামলার এ ঘটনায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে আলীকদম থানায় মামলা করেছেন ওই কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার ও আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবু তাহের।
আসামিদের বিরুদ্ধে বেআইনি জনতাবদ্ধ, সরকারি কর্মচারীকে কাজে বাধার দেওয়ার জন্য আক্রমণ ও অপরাধমূলক বল প্রয়োগ, হত্যার উদ্দেশ্যে সাধারণ ও গুরুতর জখম করার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, মামলার এজাহারনামীয় ১৭ আসামি আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে দুইজনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বাকি ১৫ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।