৩ নম্বর সংকেত বহাল, মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা বিঘ্নিত
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার পর এখন সেটি লঘুচাপে পরিণত হচ্ছে। এর প্রভাবে আজ সোমবারও মোংলা বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। ফলে গতকাল রোববার দিবাগত রাতভর ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে মোংলাসহ উপকূলীয় এলাকাজুড়ে। আজও থেমে থেকে বেশ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকের মাঠভরা পাকা-আধাপাকা ধান।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, ‘গত রাতে ও আজ সকালে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে এখন কেউ বিস্তারিত তথ্য জানায়নি। তারপরও আমি বিভিন্ন এলাকায় পর্যবেক্ষণ করেছি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যানরা জানালে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।’
বৃষ্টি-বাতাসের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে সুন্দরবনের সব কেন্দ্র। পর্যটন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা তাদের নৌযান ঘাটে বেঁধে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, ‘বৃষ্টি ও বাতাস, তারপর আবার নদী উত্তাল। তাই কোনো পর্যটক আসতে পারছে না সুন্দরবনে। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একজনও পর্যটক আসেনি এখানে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে পুরো সুন্দরবন।’
এদিকে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মোংলা বন্দর জেটি, কন্টেনার ও কার ইয়ার্ডের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দর চ্যানেলে থাকা খাদ্যশস্যবাহী জাহাজের পণ্যবোঝাই-খালাস বিঘ্নিত হলেও অন্য সব পণ্যবাহী বিদেশি জাহাজের মালামাল ওঠানামা এবং পরিবহণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন।