‘ফেব্রুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের পুনঃখনন শুরু হবে’
আসন্ন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের পুনঃখনন কাজ শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বুধবার নগরীর কামরাঙ্গীরচর বেড়িবাঁধসংলগ্ন লোহারপুল এলাকায় আদি বুড়িগঙ্গা নদীপথের (চ্যানেল) ওপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন শেষে মেয়র এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘আমরা কামরাঙ্গীরচরে একটি কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করব। আর, কামরাঙ্গীরচরে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করলে আমাদের যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কার্যক্রম মাথায় নিয়ে দুটো সেতু আমাদের করতে হবে। যাতে করে মূল ঢাকার সঙ্গে সেটার সংযোগ নিশ্চিত হয়। সে লক্ষ্যে আমরা কোথায় কোথায় সেতু করব, সে বিষয়গুলো সরেজমিনে দেখার জন্য আজ (বুধবার) বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনাবিদ এবং আমাদের প্রধান প্রকৌশলীসহ পরিদর্শনে এসেছি। তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক সড়ক ব্যবস্থা কী করতে হবে, সে বিষয়গুলোও সরেজমিন পরিদর্শন করলাম। আমরা আশা করছি—আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন কাজ শুরু করতে পারব। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে কার্যক্রম হতে নিয়েছি।’
মেয়র তাপস বলেন, ‘আদি বুড়িগঙ্গা নদীর অংশবিশেষ দখলমুক্ত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি—আগামী সপ্তাহ থেকেই ঢাকা জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যৌথভাবে অভিযান পরিচলনা করবে এবং আদি বুড়িগঙ্গার যে অংশ এখনও দখল অবস্থায় আছে, সেগুলো দখলমুক্ত কার্যক্রম হাতে নেব।’
মহাপরিকল্পনার আওতায় কার্যক্রমগুলো নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘প্রত্যেক বিষয়ে আমরা নজর দিচ্ছি। কামরাঙ্গীরচরে নদী খনন, সেতু নির্মাণ, তার সঙ্গে সঙ্গে বেড়িবাঁধের সড়কটাকেও ছয় সারিতে রূপান্তর করব। দুই সারি করে চার সারি থাকবে এক্সপ্রেসওয়ে। আর মূল সড়কের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টির জন্য এক সারি করে থাকবে সার্ভিস রোড। সুতরাং আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ব্যবস্থা এবং অন্তর্জাল সৃষ্টির কাজ হাতে নিয়েছি। এটা অনেক বড় কর্মযজ্ঞ। ধীরে ধীরে এটা দৃশ্যমান হবে। অংশ অংশ করে আমরা এগোব। আমরা শুধু পরিকল্পনা করছি না, সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন প্ল্যান নিচ্ছি এবং কাজেও হাত দিচ্ছি। এতে করে এক দিকে আমাদের পরিকল্পনা শেষ হবে, আরেক দিকে আমাদের কাজগুলো চলবে। পর্যায়ক্রমে আমাদের কাজগুলো দৃশ্যমান হবে।’
এর আগে মেয়র তাপস নগরীর ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস), ধোলাইখাল জলাশয় ও মালিটোলা উদ্যানসংলগ্ন এলাকা থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম,
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান, মো. খায়রুল বাকের, মুন্সি মো. আবুল হাসেম, কাজী মো. বোরহান উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।