আগামী বছরও শর্ট সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা চায় শিক্ষার্থীরা
২০২১ সালের মতো আগামী বছরও শর্ট সিলেবাসে (৩০%) তিন বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুর শহরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিআরআরআই) উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) উচ্চ বিদ্যালয়, গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়, রাণী বিলাসমণি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, জয়দেবপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) উচ্চ বিদ্যালয়, ছোট দেওড়া অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০২২ সালের কয়েকশ এসএসসি পরীক্ষার্থী শিববাড়ি মোড় এলাকায় জড়ো হয়। পরে তারা ব্যানার ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের গেইটের সামনে এসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শুরু করে। এ সময় তারা ২০২১ সালের মতো সংক্ষিপ্ত ৩০ শতাংশ সিলেবাসে গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবতে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভাওয়াল রাজবাড়ি সড়কে শুয়ে ও বসে থেকে সড়ক অবরোধ করে। এতে ওই সড়কের উভয়দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি পালন করে। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে জিএমপির উপপুলিশ কমিশনার রেদোয়ান আহমেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিউজ্জামান ঘটনাস্থলে যান। তারা শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বিএআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের আসিফ আহমেদসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, কোভিড ১৯ এর কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকায় ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা তাদের সিলেবাস শেষ করতে পারে নাই। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের ক্লাসের পড়াশোনার উপর নির্ভরশীল। তাই আমাদের দাবি বিশেষ বিবেচনায় ২০২১ সালের মতো আগামী ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত ৩০ শতাংশ সিলেবাসে গ্রুপ ভিত্তিক তিন বিষয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
গাজীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা এ ব্যাপারে জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে আমার নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। শিক্ষার্থীরা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বরাবর আবেদন করে থাকলে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব এবং সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।