সৌদি প্রবাসীরা অনলাইনেই প্রয়োজনীয় সেবা পাবেন : রাষ্ট্রদূত
সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সেবা অনলাইনে প্রদান করা হবে।
রোববার সকালে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু চত্বরে সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
ইকামার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অথবা যাঁদের নামে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির মামলা (হুরুব) রয়েছে কিংবা দেশে ফিরতে ইচ্ছুক—এমন প্রবাসীদের জন্য অনলাইনে স্পেশাল এক্সিট সেবা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
এ সময় সেবা নিতে আসা কয়েকশ অভিবাসী এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত যেসব প্রবাসীর ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা যাঁদের নামে কর্মে অনুপস্থিতির মামলা রয়েছে, তাঁরা দেশে ফিরতে চাইলে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওয়েবসাইটে (www.bangladeshembassy.org.sa) গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পরে যে কেউ তাঁর আবেদনের হালনাগাদ তথ্যও দেখে নিতে পারবেন।
এ ছাড়া ওয়েবসাইটে অন্যান্য সেবার জন্যও আবেদন করা যাবে।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘সৌদি আরবের প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন শহরে দূরদূরান্তে বসবাস করেন, তাঁদের কষ্ট করে এ সব সেবার জন্য আর দূতাবাসে আসার প্রয়োজন হবে না। সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে স্থাপিত প্রবাসী সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমেও প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ বিভিন্ন জরুরি সেবা নিয়মিত প্রদান করা হচ্ছে।’
এ সময় দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের পক্ষ থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের অনলাইনে আবেদনের জন্য সহায়তা করা হয়। অনুষ্ঠানে অনলাইনে আবেদন ও আপডেট জানার বিষয়ে একটি টিউটোরিয়ালও প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কাউন্সেলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠান শেষে সৌদি আরব প্রবাসী, দেশ ও জাতির সার্বিক মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা যাঁদের নামে কর্মে অনুপস্থিতির মামলা রয়েছে, কিংবা দেশে ফিরতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের এর আগে সশরীরে দূতাবাসে এসে আবেদন জমা দিতে হতো। অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করায় এখন আর দূতাবাসে আসার প্রয়োজন হবে না।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ১৬ হাজার ৮৬১ জন মেয়াদোত্তীর্ণ ইকামাধারী প্রবাসী এবং কর্মে অনুপস্থিত মামলা থাকা ১১ হাজার ৬৯৮ জনকে স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় এ সেবা প্রদান করা হয়েছে।