অর্থাভাবে সৌদিতেই মারা গেলেন ক্যানসার আক্রান্ত নুরুল
সৌদি আরবে কর্মরত অবস্থায় শরীরে বাসা বাঁধে মরণব্যাধি ক্যানসার। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করার সামর্থ্য ছিল না তাঁর। চিকিৎসকরা তাঁকে দেশে ফেরার পরামর্শ দেন। দেশে ফেরারও টাকা ছিল না নুরুল আলমের (৪০)।
এ নিয়ে গত ১২ মার্চ এনটিভি অনলাইনে ‘সৌদি থেকে দেশে আসতে পারছেন না ক্যানসার আক্রান্ত নুরুল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর অনেক হৃদয়বান ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠন তাঁর চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন। এর মধ্যে আবু বক্কর নামের এক প্রবাসী বাংলাদেশি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে মদিনার মালিক ফাহাদ হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন নুরুল আলম। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত সোয়া ১২টার দিকে সেই হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নুরুল আলমের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শিখরখীল ইউনিয়নে। প্রায় পাঁচ বছর আগে তিনি সৌদি আরবে আসেন। কাজ নেন মদিনার একটি বাগানে। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে। স্বপ্ন ছিল ছেলেমেয়েদের মানুষ করবেন। কিন্তু তাঁর সেই স্বপ্ন এখন অধরাই থেকে যাচ্ছে।
নুরুল আলম বলেছিলেন, ‘আমি পাঁচ বছর ধরে সৌদিতে আছি। এখন আমি খুব অসুস্থ। যেকোনো উপায়ে আমি দেশে ফিরতে চাই। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’
বাংলাদেশে অবস্থানরত নুরুল আলমের ছোট ভাই মো. নুরুন্নবী (৩৫) মুঠোফোনে এনটিভি অনলাইনকে জানান, তাঁরা চান নুরুল আলমের মরদেহ মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে দাফন করা হোক।