আপনার জিজ্ঞাসা
ইসলামে তাবিজের ব্যাপারে কী বলা হয়েছে?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ৭২২তম পর্বে টেলিফোনের মাধ্যমে পাবনা থেকে শাওন জানতে চেয়েছেন, ইসলামে তাবিজের ব্যাপারে কী বলা হয়েছে? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ।
প্রশ্ন : ইসলামে তাবিজের ব্যাপারে কী বলা হয়েছে?
উত্তর : আপনি জানতে চেয়েছেন, ইসলাম তাবিজের ব্যাপারে কী নির্দেশ দিয়েছে। একটি ভালো প্রশ্ন করেছেন। প্রথম কথা হলো, তাবিজ যদি কোরআন ও হাদিস ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্র, নকশা লিখা, শয়তান, ফেরাউন কিংবা অস্পষ্ট কিছু দ্বারা লেখা থাকে, তাহলে সব আলেম একে হারাম ও শিরক বলেছেন। তাহলে তাবিজ যদি কোরআন কিংবা সুন্নাহ অনুযায়ী হয়ে থাকে, তখন সেটি গ্রহণ হবে কি না, এ নিয়ে আলেমদের মধ্যে কিছু বিতর্ক ছিল। কেউ কেউ বলেছেন হারাম ও শিরক। আবার কেউ ভিন্ন মত দিয়েছেন। কিন্তু সঠিক বক্তব্য হলো, এ তাবিজও হারাম ও শিরক। কারণ রাসুল (সা.) নিজেই স্পষ্ট করেছেন, যে তাবিজ জুড়াল সে শিরক করল। রাসুল (সা.) বলেননি যে, কোরআনের আয়াত থাকলে সমস্যা নেই। তিনি সব তাবিজকে একসঙ্গে বলেছেন। তার মানে এগুলো শিরক। আরেক হাদিস অনুযায়ী, রাসুল (সা.) বলেছেন, সমস্ত তাবিজ শিরক। এটা এত স্পষ্ট কথা যে, এটার পর তো কিছু বলার থাকে না। তাবিজ নিয়ে আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর পক্ষ থেকে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সুতরাং ইসলামি শরিয়তে কেউ যদি মনে করেন, তাবিজ আপনাকে সুস্থ করবে কিংবা সাহায্য করবে, তাহলে আপনি আল্লাহ মানলেন না আর। আল্লাহ শিফা দানকারী, উনি ছাড়া আর কেউ পারবেন না। কিন্তু, আপনি আল্লাহকে না মেনে তাবিজ মানলেন। এটা পুরোপুরি শিরক। এটা স্পষ্ট হলো যে, তাবিজ শিরক। খবরদার তাবিজ থেকে নিজেদের পরিপূর্ণরূপে দূরে রাখুন।